হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর দপ্তরের ওয়েবসাইট Khamenei.ir-কে দেওয়া এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, আগের আগ্রাসনের সময়ের তুলনায় বর্তমানে ইরান সামরিক ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতার দিক থেকে আরও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, “বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও চাপ সত্ত্বেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। বর্তমানে তারা সরঞ্জাম ও জনবল—উভয় ক্ষেত্রেই আগের তুলনায় বেশি প্রস্তুত ও সক্ষম। সুতরাং তারা যদি আবার হামলার চেষ্টা করে, তবে অবশ্যই আরও কঠোর ও নির্ণায়ক জবাবের মুখোমুখি হবে।”
সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা যদি জনগণ হিসেবে ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং পারস্পরিক সংহতি বজায় রাখি, তবে শত্রুপক্ষ আবার আমাদের দেশে হামলা চালানোর সাহস পাবে না।”
আঞ্চলিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় উন্নত হয়েছে এবং এই সম্পর্ক আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আন্তর্জাতিক পরিবহন ও বাণিজ্যিক করিডোর প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এই করিডোরগুলো আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছরে আমরা আস্তারা–রাশত, শালামচেহ–বসরা এবং সম্ভাব্যভাবে জাহেদান–চাবাহার রেল করিডোরের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়েছি। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে, ইনশাআল্লাহ, এ বছরই এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।”
তিনি বলেন, এসব অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অর্থনৈতিক সংযোগ আরও জোরদার হবে।
আপনার কমেন্ট